সংবাদ দাতা।।৩০নভেম্বর।।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বিরুদ্ধে দল এখন ই ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আগরতলা পুর পরিষদের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের উপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মুলক সন্ত্রাস,হামলা হুজুতি, বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর করার বিরুদ্ধে সরকার তথা আরক্ষা প্রশাসন চুপ থাকায় তীব্র সমালোচনা করেন। শাসক দলের বিধায়ক শ্রীরায়বর্মণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে একহাত নিতেও তিনি পিছু হটেন নি। তীব্র সমালোচনা র জন্য শাসকদল বি জে পি যথেষ্ট অসস্তির মধ্যে পড়ে যায়। সুদীপ রায় বর্মন ভাষনকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস বি জে পি কে পাল্টা চাপে ফেলে দেয়।
অপরদিকে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস দল বাড়বাড়ন্তে র পে ছনে সুদীপ রায় বর্মন মদত র রয়েছে বলে অভিযোগ।
তখনই বিজেপি র মুখপাত্র সুব্র ত চক্রবর্তী বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনা থেকে বাঁচতে রাজ্য জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে ঘুরিয়ে দিতে দল দল বিরোধী কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্বাচন সমাপ্ত হবার পর নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা দলীয় শৃঙ্খলা র মধ্যে পড়ে। দলের যে কোন অভিযোগ শৃঙ্খলা র মধ্যে থেকে জানানো র পরামর্শ দেন। শুধু তাকে নিয়ে কথা বলে চুপ থাকেন নি। অন্য দেরকে ও সর্তক করে ছিলেন।।
উল্লেখ্য শ্রীরায়বর্মন দীর্ঘদিন যাবত মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যবিজেপি র কাজকর্ম নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় সর্বদা সমালোচনা করছেন। সমালোচনা করার পর ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যকর্তা এবং রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত পর্য্যবেক্ষকগন জানার পর ও চুপ।প্রত্যেকবার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে রাজ্য কমিটির মধ্যে আলোচনা ক্রমে মতবিরোধ থামিয়ে রাখা হয়। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সুদীপ রায় বর্মন এবং মুখ্যমন্ত্রী র মতবিরোধ আলোচনা র মাধ্যমে ধামাচাপা দিয়ে পরবর্তী নির্বাচনের সময় পর্যন্ত এই সরকার কেএগিয়ে নিয়ে যাওয়াই প্রধান লক্ষ্য। সেই কারনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সুদীপ রায় বর্মন বিরুদ্ধে কোন ধরনে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি দিতে রাজি নয়।
মুখ্যমন্ত্রীর কাজ কর্ম নিয়ে যত ই মতবিরোধ থাক না দলের ভেতরে বাইরে পাঁচ বছর এই পদে বিপ্লব কুমার দেবে ই থাকছেন। শাসকদলের বিধায়ক সং খ্যা বেশি আছে। কিন্তু দলের একনিষ্ঠ আনুগত্যশীল বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কেউ এই সময়ে নেই বলেই সংবাদ।