সংবাদদাতা।। ১লা জানুয়ারি।।
আগামী বিধানসভা নির্বাচন কে সামনে রেখে রাজ্য রাজনীতি তে কাউন ডাউন শুরু হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বি জে পিতে গোষ্ঠী কোন্দল এবং বর্তমান সরকারের ব্যার্থতা ছাপিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ হিসেবে প্রতিমা ভৌমিক কে তোলে ধরা হবে। এই নিয়ে জাতীয় রাজনীতি তে দলের মধ্যে দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। যদি ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই পদে থাকতে আপ্রান চেষ্টা করবে ।তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শ্রীদেবকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো র পিছনে বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীমতি ভৌমিকের বিশেষ অবদান রয়েছে। কিন্তু শ্রীদেব মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর শ্রীমতি ভৌমিকে কোন ঠাসা করে রাখতে চেষ্টা র ত্রুটি করে নি বলে সংবাদ।শ্রীমতিভৌমিক দীর্ঘ দিনের কর্মী। এই দলের হয়ে সে প্রায় কাজ করে যাচ্ছে। দলের দুর্দিনে র একনিষ্ঠ ভক্ত। পাওয়ায় আশায় সে দলের কাজ করে নি।সে যখন দলের কাজ শুরু করেছে । সেই সময় এদলে কাজ করতে কেউ এগিয়ে আসতে রাজি ছিল না। রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরের সমস্ত নেতৃবৃন্দ তাকে চিনতেন। ভালো ভাবে তাকে জানেন। সে রাজ্যের প্রতিটি পাড়ার ,প্রতিটি পরিবারের খবর জানেন। মাটির গন্ধ সুকে বলে দিতে পারে কোন বীজ কখন বুনতে হবে।বীজ বুনার পর ফলন কেমন হবে । তারপরও গত বিধানসভা নির্বাচনে সে বামফ্রন্টের প্রার্থী তথা বিরোধী দলের নেতা মানিক সরকার কাছে পরাজিত হয়। পরাজিত হ ওয়ায় সে বিধায়ক হতে পারে নি।বিধায়ক না হ ওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে নি।সে জয়ী হলে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাকেই রাজ্যবাসী পেত। বি জে পি আর এস এস ঘরানার না হলে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাউকে বসতে দিতে রাজি নয়। বর্তমান বিধানসভার বিধায়ক দের বিশাল অংশ অন্য দল ছেড়ে আসা । এছাড়া উপমুখ্যমন্ত্রী এক নিষ্ঠ কর্মী ঠিকই ছিলেন । কিন্তু উচচা আশা থাকায় তিনি দল ত্যাগ করে কংগ্রেস দলের যোগ দিয়েছিলেন। পুনরায় বি জে পি তে ফিরে আসেন। কিন্তু উনাকে আগে র মত দল সব ক্ষেত্রে রাখেন কি তিনি নিজেই ভালো করে বলতে পারেন। সং ঘ নিয়ম অনুযায়ী একমাত্র যোগ্য ছিল।ফলে বহি: রাজ্য থেকে এ সে স্বল্প সময় দলের কাজ করে মুখ্যমন্ত্রী হবার সুযোগ পেয়েছে। যার কারণে রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে গিয়ে অসুবিধা র সন্মুখিন হন।এদিকে দলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেবের কাজ কর্ম প্রতিবাদ করতে গিয়ে একাংশ বিধায়ক সাথে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। মতবিরোধ এখন এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে । শ্রীদেবের পক্ষে সমঝোতা করা সম্ভব নয়।এই অবস্থায় রাজ্য রাজনীতি থেকে প্রতিমাকে জাতীয় রাজনীতিতে পাঠানো র পেছনে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেবের হাত ছিল বলে সংবাদ। তিনি ভেবে ছিলেন প্রতিমা কে সরিয়ে দেয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী পদটি নিরাপদ হবে। তথ্য সুত্রে জানা গেছে পূর্ব ত্রিপুরার সং সদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ত্বে স্থান দেওয়া র বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়ে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে বাদ দিয়ে প্রতিমা কে জাতীয় স্তরে তুলে নেওয়ার পিছনে কেন্দ্রীয় কমিটির চিন্তা ভাবনা রাজ্যস্তরের নেতৃবৃন্দ আঁচ করতে তখন পারে নি।
শ্রীমতি ভৌমিক কেন্দ্রীয় রাজনীতি তে যাবার পর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে কন্যাকুমারী থেকে মনিপুর হয়ে রাজ্য রাজনীতি তে কাজ করতে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তাতে করে প্রশাসন এবং জাতীয় রাজনীতি তে আর ও বেশি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছে। যদি বলি সে লবিবাজি করবে সে সুযোগ ও রয়েছে। রয়েছে জাতীয় মহিলা সংগঠন। কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্যের বিষয় উপলব্ধি করতে পেরেছে বলে প্রধানমন্ত্রী তাকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। রাজ্য রাজনীতি তে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বীরোদ্ধ গোষ্ঠী।সে ক্ষেত্রে প্রতীমা কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়। তখন গোষ্ঠী কোন্দল থাকবেনা বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। অন্যদিকে সব লবিকে সাথে নিয়ে কাজ করতে পারার ক্ষমতা ও রয়েছে শ্রীভৌমিকের।বি জে পি নাথ যোগী সমাজের ভোট নিজেদের দিকে টানতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা কে সামনে রেখে কাজ করতে ছে ।সর্ব ভারতীয় পর্যায়ে যোগী দের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে পাঁচ টির উপরে মিটিং করেছে।রাজ্যে এখন প্রায় ১৫লক্ষ নাথ যোগী সম্প্রদায় জনগণের বসবাস।দশটির উপর বিধানসভা র আসনে যোগীদের ভোটের উপর প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়। তাছাড়া স্বাধিনতার ৭৫ বছর ধরে রাজ্যে মহিলা কেউ মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি করতে সাহস পায় নি। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে সে যোগ্যতা কারো ছিল না। কোন মহিলা নেত্রী র । একমাত্র যোগী সমাজের আজ যোগ্য নেত্রী।যে নাকি মুখ্যমন্ত্রী পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শ্রীমতি ভৌমিকে সামনে রেখে লড়াই করেন। সেক্ষেত্রে অনায়াসে বি জে পি পুনরায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতি উপজাতি মহিলা অংশে র ভোটার গন চাইবে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হন।অন্যদিকে বি জে পি প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী পশ্চিমবঙ্গ থেকে মমতা ব্যানার্জি কে জাতীয় রাজনীতিতে স্থান দিয়ে রেল দপ্তরের মন্ত্রী করেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী অবদান এবং কেন্দ্রীয় সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে শ্রীমতীবানার্জী আজ মুখ্যমন্ত্রী পদ সামাল দিতে কোন সমস্যা য় পড়তে হয় না। সেই রকম শ্রীমতি ভৌমিক ও কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা ও জাতীয় রাজনীতি অভিজ্ঞতা থেকে মূখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব সামলাতে সমস্যা হবে না বলে অনেকে র অভিমত।
